আজমিরীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বিরাট আশ্রয়ন প্রকল্পে ( গুচ্ছ গ্রাম ) এক ব্যাক্তির ৩টি জাতীয় পরিচয় পত্র রয়েছে।
যার নাম কখনো, দিলসাদ, কখনো আলাউদ্দীন, আবার কখনো মোশাররফ। একেক সময় একেক পরিচয় দিয়ে নেন সরকারের দেওয়া বিভিন্ন সুযোগ। শারীরিক প্রতিবন্ধীর দোহাই দিয়ে দীর্ঘ দিন থেকে মাদক ব্যাবসা চালিয়ে আসছেন এমনই একটি লিখিত অভিযোগ করেন একই গ্রামের মৃত তৈয়ব আলীর পুত্র শহীদুল ইসলাম মুসা মিয়া।
আজমিরীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লেখা অভিযোগপত্রে মুসা মিয়া বলেন, দিলসাদ মিয়া ২০০৪ সালে গুচ্ছগ্রাম মৌজার ১৩৯ এর ২৩ নং প্লট বন্দোবস্ত পায় পরে দিলসাদ মিয়া আবার ২০২২ সালে গুচ্ছগ্রাম আশ্রয়ন প্রকল্পে আলাউদ্দিন নামে ঘর পান । এবং তার আরও একটি নাম রয়েছে মোশাররফ। মুসা মিয়া বলেন দিলসাদ প্রতিবন্ধী হয়েছিল বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি করতে গিয়ে এখন সে মাদক ব্যাবসা করে। স্থানীয় কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায় দিলসাদ মিয়া অনেক দিন থেকেই গাজা বিক্রি করে আসছে যার ফলে নেশায় আসক্ত হচ্ছে এলাকার যুবসমাজ । এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুয়েল ভৌমিকের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন আইনশৃংক্ষলা মিটিংয়ে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে আমরা দ্রুত এর ব্যাবস্থা নেবো । গাজা বিক্রির কথা অস্বীকার করে
দিলসাদ মিয়া বলেন আমি গাজা সেবন করি তবে আমি কারও কোন ক্ষতি করি না। দিলসাদ আরও বলেন
আমার একটাই জাতীয় পরিচয় পত্র যেখানে আমার নাম আলাউদ্দিন মিয়া। আমার অন্য কোন কার্ড নেই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।