1. news@bdsartv.com : বার্তা বিভাগ : বার্তা বিভাগ
  2. admin@bdsartv.com : admin :
বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০৯:৩৪ অপরাহ্ন

নাক ডুবিয়ে খাচ্ছেন গাজীপুর জেলা কারাগারের সুপার আনোয়ারুল করিম

নিজস্ব প্রতিনিধি হান্নান মোল্লা
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪
  • ১২৪ বার পঠিত

নিজস্ব বিশেষ বিশেষ

কারাগার কে দুর্নীতির আতুরঘর বানিয়েছে ভোগান্তিতে বন্দিরা

কারাগার মানেই দুর্ভেদ্য প্রাচীর আর তার ভিতরে বন্দিজীবন। সে জীবনের গল্প খুব কমই প্রকাশ পায় বাইরে।মহামারী করোনাকালে গাজীপুর -৩ আসনের সাবেক এমপি সবুজ ও তার স্ত্রী ঝুমার চাঁদাবাজী এবং অবৈধ সম্পদের পাহাড় শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত করায় ক্ষমতার দাপটে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করিলে, সেই মামলায় গ্রেফতার হয়ে দুইদিন দুই রাত গাজীপুর জেলে কারাভোগের বাস্তবতা কতটা নির্মম প্রতিবেদক নিজে কারাভোগ না করলে প্রকৃত সত্যটুকু প্রকাশ করা সম্ভব হতো না। গাজীপুর জেলা কারাগারের ভিতরের ভয়ংকর অমানবিকতা, অনিয়মসহ বিভিন্ন ঘটনা যা প্রতিবেদকের,, নিজের চোখ দিয়ে দেখা , “”অনিয়ম ও দুর্নীতি যে গাজীপুর জেলখানাকে রীতিমতো বন্দিদের নির্যাতনের সেলে পরিনত করেছে। জেলখানায় টাকা দিয়ে ভালো থাকা যায়, টাকা দিলেই সবকিছুই পাওয়া যায়, এতে করে প্রকৃত বন্দিগন তার প্রাপ্য হক থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আর এই সুযোগেই বিত্তশালী বন্দিরা টাকার জোরে চিকিৎসার নামে বছরের পর বছর কাটাচ্ছে বাইরে অথবা কারা হাসপাতালের বেডে, আজও অবধি এই অবস্থার কোন পরিবর্তন হয়নি।বর্তমান জেল সুপারের জামানায় জেলখানায় টাকা না দিলে বন্দিরা কোনো সুবিধা পায় না। গাজীপুর কারাগারের কর্মকাণ্ডের অনুপুঙ্খ বিশ্লেষণ এবং মতামত যত দ্রুত সম্ভব এই জেলখানার সংস্কারের প্রয়োজন।গাজীপুর জেলা কারাগারে ৩০৭ জন বন্দির ধারণক্ষমতা থাকলেও এখানে কিন্তু প্রতিদিনই গড়ে ১হাজার ৭৫০ জনের মতো বন্দি রাখা হয়। আর এতে করে প্রতিটি সিট বাড়ার টাকা ঢুকে জেল সুপারের পেটে ও পকেটে, কারাগারের বিধিমালা অনুযায়ী বন্দির ধারণ ক্ষমতার বেশী হলে অন্য কারাগারে বলতে একই জেলার কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ ওহাইসিকিউরিটি -৪ প্রায় কমপক্ষে হলেও ১০০০ হাজার বন্দির চালান দেওয়ার যথেষ্ট সুযোগ থাকা স্বত্তেও দেওয়া হয়না কেন? জেল সুপারের অসৎ উদ্দেশ্য বন্দিদের উপর যতটা জুলুম অত্যাচার, নির্যাতন করে শুধুই টাকা কামাইয়ের জন্য। বন্দি আসামীদের প্রতিদিন গাজীপুর কোর্টে প্রেরণ এবং কোর্ট শেষে কারাগারে আনার অজুহাত,দেখিয়ে।”কারাগারের বাস্তব সরেজমিনের অভিজ্ঞতা থেকে প্রকাশ
‘’রাখিব নিরাপদ, দেখাব আলোর পথ’’ স্লোগানটি দেশের সকল কারাগারের ন্যায় , গাজীপুর জেলা কারাগারের ও মূল ফটকের ওপর সাইন বোর্ডে বড় অক্ষরে লেখা “জ্বলজ্বল, করে জ্বলছে। যদি ও জেল সুপার দাবী করছে কারাগারের প্রতিটি বন্দিকে রাখা হয় নিবিড় পর্যবেক্ষণে। কঠোর অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে দেখানো হয় স্বাভাবিক জীবনের ফিরে যাওয়ার পথ। তবে জেল সুপার মুখে এ কথা বললেও বাস্তবতার চিত্র সম্পুর্ণ ভিন্ন। কারাগারের বন্দি ও স্বজনদের প্রতিনিয়তই এখানে ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে। জেল সুপার আনোয়ারুল করিম নিজেই অনিয়ম ও দুর্নীততে ডুবে রয়েছে এমনকি কারাগারটির প্রতিটি ইট-পাথরও । বাস্তবে মিলেছে, পুরো এই কারাগারজুরেই চলছে টাকার খেলা আর ক্যান্টিন থেকে শুরু করে টয়লেটের সিটসহ বাড়া দেওয়ার জমজমাট ব্যবসা। যার যতো টাকা ও প্রভাবশালী,কারাগারের ভিতরে তার ততোই দাপট। টাকাওয়ালারা এই জেলখানায় ঘরের ন্যায় অতি আরাম আয়েশে দিন কাটায়। নানা ফন্দি ফিকিরে বন্দি ও দর্শনার্থীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। বিনিময়ে বিত্তশালী বন্দিরা পাচ্ছে আরাম আয়েশে জীবনযাপনের বিশেষ সুযোগ-সুবিধা। জেল সুপারের বিশেষ নির্দেশনায়,জেলার তারিকুল ইসলাম সহ দুইজন ডেপুটি জেলার মো: আবদুল কাদির ও মো: আব্দুর রব মিয়া মিলে এই বিশেষ চক্রটি প্রতিমাসে প্রায় দেড় থেকে দুই কোটি টাকার বাণিজ্য করছে। সংশোধনের পরিবর্তে বন্দি ও সাজাপ্রাপ্তরা প্রতিনিয়ত শিখছে অনিয়ম ও দুর্নীতি নানা অপকর্মের কুট -কলাকৌশল। বন্দিদের সঙ্গে দেখা করতে আসা দর্শনার্থীরাও সুবিধা পেতে এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির সুযোগ নিচ্ছে। তবে প্রতিবেদক একজন সাংবাদিক পরিচয় গোপন করে কারাগারের সুপার আনোয়ারুল করিম কে ভিতরের এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে উত্তর দেন যে, তিনি যোগদানের পরে কোন অনিয়ম ও দুর্নীতি নেই অথচ এই জেল সুপারের আমলেই দুইদিন দুইরাত এই জেলখানায় অসুস্থ অবস্থায় ছিল দুইদিনই সকালে সুপারের নিকট আকুতি করেছিল কারা হাসপাতালে একটা সিটের জন্য, সুপার চামারের ভাষায় স্পষ্ট বলে দেয় এটা জেলাখানা কারো শশুর বাড়ী নয়,যে কাউকে কারা হাসপাতালে থাকতে হলে প্রতিমাসে নিচতলার জন্য ১৫ হাজার দোতলার জন্য ২০ হাজার টাকা অগ্রীম দিতে হবে। যখনই জানতে পারে প্রতিবেদক একজন সাংবাদিক কারাগারের ভিতরের সকল অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য ফাঁস হয়ে যাবে এই ভয়ে দুদিন পর তাকে কাশিমপুর -২ কেন্দ্রীয় কারাগারে চালান করা হয় । প্রতিবেদক সেখানে কোন প্রকার অনিয়ম ও দুর্নীতি খুঁজে পায়নি।কাশিমপুর-২ কেন্দ্রীয় কারাগারে সিট পেতে কোন টাকা দিতে হয় না, প্রকৃত অসুস্থ বন্দি ব্যতীত কাউকে কারা হাসপাতালে থাকতে দেওয়া হয়না খাবার ও মানসম্পন্ন পিসি ক্যানটিনে জিনিসপত্রের দাম ও স্থিতিশীলতা। জেলখানায় থাকাবস্থায় প্রত্যেক বন্দিদের বক্তব্য হুবহু নিজ অভিজ্ঞতা থেকে প্রকাশ কোন সুত্র নয়। প্রতিবেদকের নিজ চোখে দেখা , দু কান দিয়ে শুনা কারাগারের ‘তুরাগ’ এবং ‘শীতলক্ষ্যা।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১